পোলায় এক সাপ্তার (সপ্তাহ) জন্য রাইখা গেছিলো, আজ ১২ বচ্ছর (বছর)। পোলা আর আয়ে (আসে) নাই।’ কথাগুলো বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন এক মা। তিনি হলেন গাজীপুর খতিববাড়ী বৃদ্ধাশ্রমে থাকা রাবেয়া খাতুন। এভাবে কথাগুলো যখন বলছিলেন স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে বুক ফাটা হাহাকারে তার চোখের পানিও যেন ক্লান্ত হয়ে আসছে।
রাত পোহালেই মা দিবস, কিন্তু এখনো এই মা তাকিয়ে আছেন হয়তো কোন এক নতুন ভোরে ছেলে আসবে তাকে নিতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাবেয়া খাতুনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। এক ছেলে দুই মেয়ের এই জননী আজ ১২ বছর ধরে খতিববাড়ী বৃদ্ধাশ্রমে বসবাস করছেন।
ছেলে আশা দিয়েছিল সেখান থেকে নিয়ে যাবেন। সেই আশায়ই বুকে বেঁধে পথ চেয়ে বসে আছেন এখনো।বড় স্বপ্ন নিয়ে একমাত্র ছেলেকে আদরে যতনে মানুষ করেছিলেন রাবেয়া খাতুন। ভেবেছিলেন শেষ জীবনের আশ্রয় আর ভরসার জায়গা হবে আপন ছেলে। কিন্তু তার জীবনের গণেশটা উল্টে গেল হুট করেই। নতুন এক গল্প যুক্ত হলো তার জীবনে।
ছেলে না হয় ছেলের বউ ও সংসার নিয়ে আছে। কিন্তু মেয়ে দুটিও খোঁজ নেয় না কেন? স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের সাংবাদিক তার কাছে জানতে চেয়েছেন এ কথা? এ বিষয়ে রাবেয়া খাতুন জানান, মেয়েগুলো প্রথম প্রথম দেখতে আসতো। এখন আর সময় পায় না।
তারা ব্যস্ত তাদের সংসার ও ছেলে মেয়েদের নিয়ে। নাতি নাতনির প্রসঙ্গ তুলতেই আবারো আঁচলে মুখ ঢেকে কাঁদলেন রাবেয়া। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, ‘নিশ্চয়ই অনেক বড় হয়ে গেছে। কারও কারও হয়ত বিয়েও হয়েছে।
Author: মানবসেবা
Related Posts
Some simillar article from this label, you might also like
- Blog Comments
- Facebook Comments