মুক্তামণিকে দেখতে যেতে না পারায় কষ্ট পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী......

সময়ের অভাবে হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুক্তামণিকে দেখতে যেতে না পারায় কষ্ট পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন একথা বলেন।
সোমবার পেশাজীবীদের সম্মানে দেয়া ইফতার মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় ডা. সামন্তলাল সেনের। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মুক্তামণির কথা স্মরণ করে দুঃখপ্রকাশ করেন।
ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, ‘আমাকে দেখে প্রধানমন্ত্রী মুক্তামণির প্রসঙ্গ তোলেন। দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘সামন্ত, আমি কষ্ট পেয়েছি মুক্তামণিকে দেখতে না পেয়ে। আমার খুব কষ্ট লাগছে। আমার খুব ইচ্ছে ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে দেখতে যেতে পারিনি। মেয়েটা চলেই গেল।’
ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, ‘আমি তাকে বললাম, আমরা সবাই মিলে আপনার হয়ে চেষ্টা করেছি। আপনার সদিচ্ছা ও সমর্থন এবং চিকিৎসকদের চেষ্টার কথা মুক্তামণির বাবা ইব্রাহীম হোসেন জানেন এবং তিনি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। মুক্তামণির বাবা বলেছেন, তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, আপনার জন্য দোয়া করবেন।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে খুব বেদনাহত দেখাচ্ছিল জানিয়ে ডা. সামন্তলাল বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম, একজন রোগীর জন্য একজন প্রধানমন্ত্রীর কতোটা মমতা থাকতে পারে!’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১২ জুলাই ঢামেক বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয় ১১ বছর বয়সী মুক্তামণি। প্রথমে তার রোগটিকে বিরল রোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরে বায়োপসি করে জানা যায়, তার রক্তনালীতে টিউমার হয়েছে। তখন তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা। মুক্তামণির সব রিপোর্ট দেখে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসায় অস্বীকৃতি জানান। এরপর ঢামেকের চিকিৎসকরাই তার অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে মুক্তামণির চিকিৎসার সব ধরনের খরচের দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা ছয় মাস ঢামেক বার্ন ইউনিটে চলে তার চিকিৎসা। পরে ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মুক্তামণিকে ছাড়পত্র দেয়া হয় বার্ন ইউনিট থেকে। গত ২৩ মে নিজ বাড়িতে মারা যায় মুক্তামণি।


SHARE THIS
Previous Post
Next Post