‘আমার একটাই পরিচয়, আমি হাসমতের বউ’

হাসমত, ১৯৯৫ সালে বাঘের আক্রমণে মুখের অর্ধেক অংশ বিশ্রীভাবে নষ্ট হয়ে যায়। চেহারা এত ভয়ংকর ছিল যে কেউ ভয়ে তার সামনে আসত না। বিয়ে করেন ছবির এই মেয়েটাকে। এমন ভয়ংকর চেহারার কাউকে বিয়ে করার পরে মেয়েটার অনুভূতি কি ছিল বললেন নিজের ভাষায়।
‘আমাদের বিবাহিত জীবনের প্রথম দিকে আমি মেনে নিতে পারিনি যে আমার স্বামীর অর্ধেক চেহারা নেই। বিয়ের প্রথম রাতে আমি তাকে আমার থেকে দূরে থাকতে বলি। সে আমার সিদ্ধান্ত কে সম্মান জানিয়ে আমার থেকে দূরে থাকতো, কারণ আমি তাকে ভয় পেতাম।
তার পর দিন দিন সে আমার প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করতে থাকে। এত বছরে সে একবারও আমাকে ছাড়া রাতের খাবার খায়নি। তার ভালবাসা, শ্রদ্ধা এবং সমবেদনায় তার প্রতি আমার অনুভূতি পাল্টে যায়। আমি দেখতে পাই সে মন থেকে কত সুন্দর। আমি এই অর্ধ চেহারার মানুষটাকে ভালবাসি।’

এই সুন্দর মনের মহিলাটার নাম জিজ্ঞেস করা হলে নিজের নাম বলতে রাজি হননি। লাজুক হাসিতে গর্বের সাথে বলেন “আমার একটাই পরিচয়, আমি হাসমতের বউ।”

এমন গভীর ভালোবাসার কাহিনীগুলো সবসময় অগোচরেই থেকে যায়। আজকের প্রজন্ম ভালোবাসা বলতে বোঝে উত্তম-সুচিত্রার রোমান্টিসিজম, লাইলী-মজনুর গল্প, সম্রাট শাহ্জাহানের তাজমহল কিংবা টাইটানিক ছবির বাঁধভাঙ্গা প্রেম। ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

SHARE THIS
Previous Post
Next Post