সরকারের অাশ্বাসের বিশ্বাস নেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সব দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। আগামী দুই মাসের মধ্যে সড়ক পরিবহন আইন পাস করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সরকার তরফ থেকে জানানো হয়। কিন্ত সরকারের এই আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে পারছে না আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রদের অভিযোগ, সরকারের প্রতিশ্রুতিতে কোনা ভরসা নেই। ছাত্ররা চরম আস্থা সংকটে ভুগছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতিশ্রুতিতে সরকার উল্টো পিঠ দেখিয়েছে। শিক্ষার্থীরা চেয়েছে কোটা সংস্কার কিন্তু সরকার কোটা বাতিলের ঘোষণা করেছে। পরে কোটা বাতিলে প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে গেলে সরকার তা বাস্তবায়ন না করে শিক্ষার্থীদের হামলা মামলা দিয়ে হেনস্থা করে। বহু ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করা হয়। তাদের ওপর চলে নির্মম নির্যাতন। রেহাই পায়নি ছাত্রীদের সম্ভ্রম।
শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি বাস্তবায়নে সরকারের ঘোষণা সুস্পষ্ট নয়। বাস মালিকরা শ্রমিকদের কাছে চুক্তিতে বাস দেয়। শ্রমিকরা দিনে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা বাস মালিকদের দিতে হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের বাস ভাড়া অর্ধেক করার অধিকার উপেক্ষিত। শ্রমিকদের নিক্ষিপ্ত করা হয় ভাড়া আদায়ের প্রতিযোগিতায়। এই প্রতিযোগিতা থেকে উত্তরণের কোনো সুযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে দেখা যায় না। তাছাড়া সরকারের তৎপরতা আজকে ছাত্র ও শ্রমিকদের মুখোমুখি করে দিয়েছে। এটা দাবি বাস্তাবায়নের লক্ষণ নয়।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকার তার প্রতিশ্রুতি বাস্তাবায়ন করেনি। বরং সরকারের হামলা মামলা হুলিয়া আন্দোলকারীদের জীবন বিষিয়ে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে বিভিন্ন বিকৃত, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব বানোয়াট সংবাদ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রচার করা হচ্ছে। তবে সরকার শিক্ষাথীদের দাবি বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ আন্তরিক।

SHARE THIS
Previous Post
Next Post