১৬০ বছর বাঁচার আশা ছিল রমা চৌধুরী

‘একাত্তরের জননী’ খ্যাত লেখিকা ও মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের শিকার রমা চৌধুরী আর নেই।১৬০ বছর বাঁচার আশা করেছিলেন রমা চৌধুরী।
সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমা চৌধুরীর দীর্ঘদিনের সহচর ও তার বইয়ের প্রকাশক আলাউদ্দীন খোকন।
তিনি বলেন, আমি প্রকাশক হিসেবে দিদির (রমা চৌধুরীর) পাশে সবসময় ছিলাম। দুই যুগের বেশি সময় দিদির পাশে থেকে সহযোগিতা করেছি, সেবা করেছি। যতটুকু পেরেছি করেছি। আমি জানি সবটুকু করতে পারিনি। আরেকটু বেশি করতে পারতাম। আরেকটু বেশি করতে পারলে হয়তো তাকে অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখতে পারতাম। তার আশা ছিল ১৬০ বছর বাঁচবেন।
তিনি অনেকবার অসুস্থ হয়েছেন, প্রতিবার আশা ছিল ফিরে আসবেন। এবারও আশা করেছিলাম, ফিরে আসবেন। কারণ তার জীবনীশক্তি অনেক বেশি ছিল। বার্ধক্যজনিত অনেক রোগ একসঙ্গে আক্রমণ করায় তিনি আর আমাদের সঙ্গে থাকতে পারলেন না।
রমা চৌধুরীর ইচ্ছে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দিদি চেয়েছিলেন পুরো দেশ ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখবেন। ‘একাত্তরের জননী’ বইয়ের বাকি নয় খণ্ডের কাজ শেষ করবেন।
আক্ষেপ করে আলাউদ্দিন খোকন বলেন, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষাজুড়ে খালি পায়ে হেঁটে বই বিক্রি করে চলতেন। দিদি (রমা চৌধুরী) প্রাপ্য সম্মানটুকু পায়নি। তার একটি ছেলে বেঁচে আছে। যে সম্মানটুকু দিদিকে দেওয়া হয়নি তা দেওয়া উচিত।
আলাউদ্দিন খোকন বলেন, রমা চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তিনবার যেতে চাননি। পরে যখন দেখা করেছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রীকে বার বার বলেছেন, ‘আমি কিছু চাই না।’
কিন্তু তার অনেক প্রয়োজন ছিল। গত এক বছর সরকার দিদির চিকিৎসাসেবা দিয়েছে। যোগ করেন আলাউদ্দিন খোকন।
সুত্র....জুমবাংলানিউজ

SHARE THIS

Author:

Previous Post
Next Post