বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি

নীলফামারী প্রতিনিধি : ভারী বর্ষণ ও প্রচণ্ড স্রোত ধারায় লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার(৫২.৭৫) উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার পয়েন্ট ৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত ৯টায় তা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার এবং রাত সাড়ে ১১টায় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকায় রাস্তা ঘাট ভেঙে লোকালায়ে ঢুকে পড়ছে নদীর পানি। ফলে মানুষজনের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
সোমবার রাত ১০ টায় তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সেই সাথে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। সোমবার বিকেল ৬ টায় ওই পানি বিপদসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যার পর থেকে তা হু হু করে বাড়তে থাকে। এই অবস্থায় সোমবার রাত ৯ টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে ওই পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এতে করে হাতীবান্ধার তিস্তা তীরবর্তী ৬ টি ইউনিয়নে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধার সিংঙ্গীমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামের কৃষক শাহীনুর রহমান জানান, সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ করেই নদীর পানি বাড়তে থাকে। পরে রাত ১০ টার দিকে ওই পানি রাস্তা, ঘাট ভেঙে ঘর-বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এনিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার বিকেলে ৬ টায় তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার প্রায় ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে ওই পানি বেড়ে গিয়ে রাত ৯ টায় বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে তা প্রবাহিত হতে থাকে।

SHARE THIS

Author:

Previous Post
Next Post