জেলা প্রতিনিধি
04 NOVEMBER 2018
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা আগামী ১১-১৮ ডিসেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও এখন ২৯ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তা শেষ করতে বৃহস্পতিবার আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব শিক্ষা কর্মকর্তাদের আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের আদেশে বার্ষিক পরীক্ষার সূচিতে পরিবর্তন আনার বিষয়ে কোনও কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একাদশ সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতিই এর মূল উত্তর। কারণ নির্বাচনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া শিক্ষকরাও থাকেন প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে।
PEC examনভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের ১৮ তারিখের মধ্যে ভোট করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচনে ৪০ হাজার ভোট কেন্দ্রের জন্য প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা তালিকা ৮ নভেম্বরের মধ্যে রেডি করবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ইসি। এরই অংশ হিসেবে প্রাথমিক একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নভেম্বরের ৭ তারিখের মধ্যে তফসিল দিয়ে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোন দিন ভোট করা হতে পারে। তবে করো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ১২ থেকে ১৪ তারিখে তফসিল দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনাটি কমিশন বৈঠকে উঠানো হবে। সেখানে আলোচনা করে কমিশন অনুমোদন দিবেন।
নির্বাচন কর্মকর্তরা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনের ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রর ২০ লাখের অধিক ভোট কক্ষের জন্য প্রায় সাড়ে সাতলাখ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা প্রস্তুত করবে ইসি। এ লক্ষ্যে ইসির উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে মাঠ কর্মকর্তাদের। এতে বলা হয়েছে ৮ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং নির্বাচন ইনস্টিটিউটে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সব তথ্যসহ চূড়ান্ত তালিকা পাঠাতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রয়োজন হবে সাত থেকে সাড়ে সাত লাখ। তফসিল ঘোষণার পরপরই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। ভোটের অন্তত ২৫দিন আগে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ হবে। তারপর প্যানেল থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা চুড়ান্ত করা হবে।
সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১৯ লাখের বেশি ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি; ভোটকক্ষ ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। সে সময় ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৫৭৭ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন।
সংসদ নির্বাচনে বরাবরই বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এবার কাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে- সে সিদ্ধান্ত কমিশন সভায় নেওয়া হবে।
জানা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৪০ হাজারের বেশি ভোট কেন্দ্র লাগবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে প্রিজাইডিং অফিসার, কেন্দ্র প্রতি দুই জন করে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রতি ভোট কক্ষে দুই জন করে পোলিং অফিসার থাকবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার অনুপাতে দুই বা ততোধিক ভোটকক্ষ থাকে। তাতে ৮-১০ জন পোলিং অফিসার লাগবে কেন্দ্র প্রতি। সব মিলিয়ে এবার সাড়ে সাত লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেণি/সমমর্যাদার, কলেজ, মাদ্রাসা, উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সিনিয়র শিক্ষক বা সমমর্যাদার এবং প্রয়োজনে ব্যাংক-বীমার সমমর্যাদার কর্মকর্তারা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন।
এসব প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা বা সমমর্যাদার কর্মকর্তারা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং সরকারি বা রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সরকারি-আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা পোলিং অফিসার হিসেবে থাকবেন।
Author: Ahmed sufi
Related Posts
Some simillar article from this label, you might also like
- Blog Comments
- Facebook Comments