ফেঞ্চুগঞ্জ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সিলেট জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান।
সিলেট জেলা প্রতিনিধি
26 APRIL 2019
ফেঞ্চুগঞ্জ ঃ ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর গঙ্গাপুর ও বালাগঞ্জ সীমাঘেষা বারোহাল নামক স্থান থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সিলেট জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গন রোধ ও সংরক্ষণ কমিটি। কমিটির সভাপতি ফাহিম আহমেদ শাহ ও সম্পাদক নাইমুর রহমান নাইমের সাক্ষরিত স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করছেন ৬নং পুর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিমাংশু রঞ্জন দাস, ফেঞ্চুগঞ্জের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে জুনেদ আহমেদ, ফেঞ্চুগঞ্জ মাইজগাঁও এর মিরন মিয়ার ছেলে এ,এম ফারহান সাদিক, বারোহালের ছালিক মিয়ার ছেলে সাহেদ আহমেদ সহ তাদের আশ্রয়দাতাদের ব্যাপার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও ড্রেজার মেশিন অপসারণ করে কুশিয়ারা নদী তীর ভাঙ্গন রোধ ও পরিবেশ রক্ষার দাবি জানানো হয়। আবেদনকারী কমিটি উল্লেখ করে, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে ভায়েস্ট করে এ অবৈধ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।অবৈধ বালু উত্তোলনের ব্যাপার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হলে ইউএনও নামমাত্র অভিযান করে দুই দিন বালু উত্তোলন বন্ধ রাখেন। আবারো বালু খেকোরা ইউএনও কে প্রতিদিন ৫০হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে নির্বিঘ্নে বালু উত্তোলন কাজ করে। এমনকি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সম্মুখ রাস্তায় পাইপ লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে বালু সরবারাহ হচ্ছে। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন নামক ফেইসবুক ভেরিফাইড একাউন্টে ইউএনও বলেন যে ফেঞ্চুগঞ্জে সরকারের ইজারা দেওয়া কোন বালু মহাল নেই। তাহলে কি ভাবে প্রশাসনের সামনেই দিনে রাতে বালু উত্তোলন হয়? এমন প্রশ্ন রেখে আবেদনকারী কমিটি আরো উল্লেখ করেন, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর হুমকির সম্মুখীন ও ড্রেজারের তেল মবিলে কুশিয়ারা নদী মাছও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বালু উত্তোলনকারী ব্যক্তি, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে সরেজমিন পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানান তারা।