‘মাহফুজ ট্রেভেলস’ এর চেক প্রতারণা মামলায় সাম্মুনের চার বছরের জেল


জেলা প্রতিনিধিঃ আবুল কাসেম চয়ন   
22 AUGUST 2019

নিউজ ডেস্কঃ  এক কোটি তেপান্ন লক্ষ টাকার চেক প্রতারণার মামলায় নগরীর তালতলাস্থ মাহফুজ ট্রাভেলস এর সাবেক ম্যানেজার মো. ইফতেখারুল আলম সাম্মুনকে ৪ বছরের সাজা এবং সমপরিমাণ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। কাল সোমবার সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মমিনুন্নেছা এ আদেশ দেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী ইফতেখারুল নগরের সুবিদ বাজারস্থ এক্সেল টাওয়ারের বাসিন্দা। তার বাবা সাবেক জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী ও ও মা ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক শিক্ষিকা সেলিনা বেগম। রায় ঘোষণার পর তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামী মো. ইফতেখারুল আলম মাহফুজ ট্রাভেলস এর বর্তমান স্বত্তাধিকারী মামলার বাদী সৈয়দ মাহবুব আহমদের বাবা সৈয়দ আবুল ফজলের জীবদ্দশায় চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিতে থাকাকালীন অবস্থায় সৈয়দ আবুল ফজলের মৃত্যশয্যায় ও মৃত্যুর পরে সুযোগ মতো প্রতিষ্ঠানের এক কোটি তেপান্ন লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেন। পরবর্তীতে দোষ স্বীকার করে সৈয়দ আবুল ফজলের ছেলে মাহবুবকে ২০১৮ সালের বিভিন্ন সময়ে পাঁচটি চেক প্রদান করেন তিনি। কিন্তু চেকের অংক অনুযায়ী ব্যাংকে টাকা না পেয়ে সৈয়দ মাহবুব নিজে বাদী হয়ে আদালতে পাঁচটি পৃথক মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন মামলা চলার পর কাল চারটি মামলায় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে চার মামলার প্রতিটিতে এক বছর করে মোট চার বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের সমপরিমাণ অর্থ ( ১ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা) জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য যে, মাহফুজ ট্রেভেলস এ চাকরিকালীন সময়ে মো. ইফতেখারুল আলম সাম্মুনের কাছ থেকে ২০১৭ সালের কোন একদিনে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আব্দুল মোমেনের সহধর্মিণী সেলিনা মোমেন নিউইয়র্ক যাওয়ার জন্য বিমানের একটি টিকিট লন্ডন প্রবাসী উনার এক পরিচিত জনের মাধ্যমে কিনেন । সেলিনা মোমেনের শুভাকাংখী সেই ব্যক্তি টিকেটের টাকাও পরিশোধ করেন সাম্মুনকে। নির্ধারিত তারিখে রাত ২ টার দিকে ঢাকা এয়ারপোর্ট গিয়ে কাউন্টারে দেখেন এ নামে কোন টিকিট বুকিং নেই। তখন সেলিনা মোমেন লন্ডনে বসবাসরত উনার শুভাকাঙ্ক্ষীকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।এবং নিরুপায় হয়ে কাউন্টার থেকে নতুন একটি টিকিট কিনে নিউইয়র্ক যান। । সেলিনা মোমেন যার কাছ থেকে টিকিট কিনেছিলেন সেই শুভাকাঙ্ক্ষী মাহফুজ ট্রেভেলস থেকে নিজের এবং পরিচিতজনদের টিকিট কিনতেন সবসময়। সেই শুভাকাঙ্ক্ষী দেশে এসে টিকিটের ব্যপারে চ্যালেঞ্জ করলে থলের বিড়াল বের হয়। খোঁজাখুজির পর সাম্মুনের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন মাহফুজ ট্রেভেলস থেকে একমাসের টিকিট বাবত প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এই সাম্মুন। এরকম টিকিট এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা সে আত্মসাৎ করেছে প্রবাসী এই ব্যাক্তির কাছ থেকে।যোগাযোগ করা হলেই তারিখ করতে করতে আজ অবধি এসেছে।এরকম ছলছাতুরী করে বিভিন্ন মানুষের কাছথেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

SHARE THIS
Previous Post
Next Post