মানবতার ধর্ম ইসলাম। শান্তির ধর্ম ইসলাম। মানবসেবা, মানবকল্যাণ এবং জনহিতকর কাজকে গুরুত্ব প্রদান করেছে ইসলাম। কেবল গুরুত্ব প্রদানই নয়, এসব কাজে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে উৎসাহও দিয়েছে। ইসলামে মানবসেবা বা পরোপকার সর্বোত্তম গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বারবার বেশ গুরুত্ব সহকারে মানবসেবার বিষয়টি ইসলামে আলোচিত হয়েছে। পবিত্র কোরানের সুরা বাকারায় আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, যদি তোমরা দান-সদকাহ বা সাহায্য-সহযোগিতা প্রকাশ্যে কর তাও ভালো। আর যদি এমন কাজ গোপনে বা অপ্রকাশ্যে কর, তা আরো ভালো। পবিত্র কোরানে আরো ইরশাদ হয়েছে, তোমাদের কাছে কোনো গরিব, অসহায়, এতিম-মিসকিন কিছু চাইলে ধমক দিয়ে ফিরিয়ে দিও না। হজরত মোহাম্মাদ [সা.] তাঁর গোটা জীবনকে মানবতার সেবায় উৎসর্গ করেছিলেন। কেবল জাতি-ভাই কিংবা মুসলমানদের ব্যাপারে নয়, ভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের সেবার ক্ষেত্রেও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তিনি ছিলেন মানবতার নবি। তিনি ছিলেন মানবসেবার মূর্তপ্রতীক। তাঁর অনুসারী হিসেবে মানবসেবার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাপক ভূমিকা থাকা উচিত এবং এ ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা থাকাটাই মুসলমানিত্বের দাবি। মানবসেবা, মানবতার কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করাই ছিল মানবতার নবির জীবনের মহান ব্রত। নবিজি [সা.] বলেছেন, তোমাদের মাঝে যারা তার প্রতিবেশীকে উপোস রেখে খাবার গ্রহণ করে, সে আমার অনুসারী নয়। ইসলাম ও ইসলামের নবি এভাবেই মানবসেবাকে গুরুত্ব প্রদান করেছেন। একজন মুসলমান হিসেবে মানবকল্যাণমূলক কাজে জড়িত থাকা, মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা ঈমানি দায়িত্ব। ইসলাম ধর্মের অনুসারী হিসেবে, মহানবি হজরত মোহাম্মাদ [সা.]-এর অনুসারী হিসেবে আমাদের সবার উচিত সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী মানবসেবায় নিয়োজিত হওয়া। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মানবসেবামূলক কাজে বেশি বেশি অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ইসলামের নির্দেশ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
মাওলানা মিরাজ রহমান
মাওলানা মিরাজ রহমান