ব্যাটসম্যানরা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি........

ব্যাটসম্যানরা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। সেই প্রথম ম্যাচের আরেকটি মঞ্চায়ন। সাকিবদের এই ব্যর্থতায় আফগানিস্তানকে বড় কোনো লক্ষ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই উজ্জীবিত আফগানদের জয় পেতেও খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। এক রকম প্রাধান্য বিস্তার করেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে তারা। লাল-সবুজের দলকে তারা হারিয়েছে ৬ উইকেটে।
ভারতের দেরাদুনে এই ম্যাচ জয়ে ইতিহাস গড়েছে আফগানিস্তান। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে জিম্বাবুয়ের বাইরে অন্য কোনো দলের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে তারা।
ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান চার উইকেট হারিয়ে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। আফগানদের ইনিংসের শুরুটা ছিল বেশ ঝড়ো। বিশেষ করে মোহাম্মদ শেহজাদ ১৮ বলে ২৪ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথ দেখিয়েছিলেন। অবশ্য মাঝে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তাদের জয়টা কিছুটা বিলম্ব হয়েছিল।
আফগানদের হয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। ওয়ানডাউনে খেলতে নামা এই ব্যাটসম্যান ৪১ বলে ৪৯ রান করেন।
স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু কোনো উইকেট না পেলেও দারুণ বল করেছেন। প্রথম তিন ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ৫ রান। আর শেষ ওভারে খরচ করেন ৯ রান। বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও আবু হায়দার রনি। রনি চার ওভারে ১৪ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন। আর সৈকত তিন ওভারে ২১ রান দিয়ে দুই উইকেট পান।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ গড়েছিল মাত্র ১৩৪ রান। লেগ-স্পিনার রশিদ খান অনেকটা একাই ধসিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। তিনি চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান। তা ছাড়া এক ওভারেই তিনি নিয়েছিলেন তিন উইকেট।
বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র সফল ছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তিনি ৪৮ বলে ৪৩ রান করেন। মুশফিক ১৮ বলে ২২ রান করে ফিরে যান।

SHARE THIS
Previous Post
Next Post