কানাডায় প্রথম বাংলাদেশী এম​.পি হলেন সিলেটের ডলি.......

বাংলাদেশী মেয়ে ডলি বেগম ওন্টারিও প্রদেশের টরন্টো এলাকার একটি আসন থেকে এম. পি নির্বাচিত হয়েছেন। ৭ জুন এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি প্রগ্রেসিভ কনসারভেটিভ পার্টির গ্রে এলিয়েসকে ৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান। ডলির প্রাপ্ত ভোট ১৫৫৪৩। নির্বাচনে তাঁর এই জয়কে স্থানীয় অনেকে দেখছেন বাংলাদেশী মেয়ের টরন্টো বিজয় হিসেবে।

ইতোপুর্বে কোনো বাঙালী টরন্টো, এমনকি কানাডার কোনো নির্বাচনে জিততে পারেননি। ডলি বেগম প্রথমবারের মতো প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট নির্বাচনে জিতে শুধু কানাডায় নয় সারা বিশ্বের বাঙালীদেরদের জন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

ডলির জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায়। এগার বছর বয়সে বাবা-মায়ের সাথে তিনি কানাডায় আসেন। সাথে ছিল ছোট ভাইটি। অল্প বয়সে কানাডায় এসে ডলি মুখোমুখি হন কঠিন বাস্তবতার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা পতিত হন মারাত্মক এক সড়ক দুর্ঘটনায়। তাঁর পিতাকে হাসপাতালে কাটাতে হয় অনেক বছর।

পিতার স্বপ্ন পুরন করেছেন ডলি। ২০১২ সালে তিনি টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। আর ২০১৫ সালে উন্নয়ন প্রশাসনে মাস্টার্স করেন টরন্টো ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে। পড়ালেখা শেষ করার পর সিটি অব টরন্টোতে প্রায় দশ মাস কাজ করেন। গত এপ্রিল পর্যন্ত রিচার্স এনালিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন দ্য সোসাইটি অব এনার্জি প্রফেশনাল্স এ।

ডলি নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর কানাডায় বসবাসরত বাঙালীদের অকুন্ঠ সমর্থন পান। তাঁকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন হোসেইন সুমন নামক কানাডা প্রবাসী এক বাঙালী। ভোটারদের উদ্দেশ্য করে ডলি বলেছেন, “আমি আপনাদেরই একজন, আপনাদেরই মতো জীবনযুদ্ধের প্রতি পদে হাজারো বাধাবিপত্তি আর অসাম্যের হয়ে লড়াই করা একজন। তাই আমি নির্বাচিত হওয়া হবে আমাদের মতো হাজারো মানুষের নিজেদের বিজয়।”

ডলির বিজয়ে আনন্দিত কানাডা প্রবাসী বাঙালীরা। তার দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থকরা। সাথে সারা বিশ্বের বাঙালীরাও। প্রথমবারের মতো কোনো বাঙালী কানাডার একটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মেম্বার অব প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট নির্বাচিত হওয়া রূপক অর্থে টরন্টো বিজয়ই বলা যায়।
সুত্র,সুরমা নিউজ

SHARE THIS
Previous Post
Next Post