আমিও হতে পারিও বিশ্বসেরা!’
প্যারিসের মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরের এক জায়গা বন্ডি। দাঙ্গা ও সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য কুখ্যাত জায়গাটি। এমন একটি জায়গায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে ফুটবলে লাথি মারা এক বালকও এখন স্বপ্ন দেখে বিশ্বসেরা হওয়ার। কারণ, এমন কিছু তো এখন খুব করেই সম্ভব। বন্ডির অলিতে গলিতে ফুটবলের পাঠ নেওয়া এক কিশোরই যে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত ফুটবলারদের একজন—কিলিয়ান এমবাপ্পে!
১৯৯৮ সালে ফ্রান্স যখন বিশ্বকাপ জিতেছিল, তখনো জন্ম হয়নি এমবাপ্পের। ২০ বছর পরে ফ্রান্স যখন দ্বিতীয়বারের মতো এই আরাধ্য ধন ফিরে পেল, সে অভিযানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ১৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। সম্ভাবনাময় এক তরুণ হিসেবে রাশিয়ায় পা দিয়েছিলেন। মস্কো থেকে প্যারিসের বিমানে যখন চড়েছেন, তত দিনে কীর্তিতে কিংবদন্তি পেলের পাশে চলে এসেছেন, মেসি-রোনালদো-নেইমারদের নিজের ছায়ায় ফেলে দিয়েছেন। আর সঙ্গে চকচকে সোনালি সে ট্রফি তো আছেই!
এমন অর্জনের পরও নিজের জন্মস্থান বন্ডিকে ভোলেননি এমবাপ্পে। এবারের বিশ্বকাপের শুরুতেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ থেকে যা-ই আয় করবেন, সব দিয়ে দেবেন একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে। প্রিমিয়েরস দে কর্দেস নামের প্রতিষ্ঠানটি অসুস্থ শিশুদের খেলার সামগ্রী কিনে দেয়, খেলার ব্যবস্থা করে দেয়। প্রতিষ্ঠানটি তখনো বুঝতে পারেনি এমবাপ্পে তাদের জন্য কত বড় উপহার নিয়ে হাজির হবেন। বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচ খেলার জন্য ২২ হাজার ৩০০ ডলার করে পেয়েছেন এমবাপ্পে। সাতটি ম্যাচে যা আয় করেছেন, এর সঙ্গে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার বোনাসও পেয়েছেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। সব মিলিয়ে ৫ লাখ ডলার (৪ কোটি ২০ লাখ টাকা) পাবেন বিশ্বকাপ থেকে, তার পুরোটাই যাচ্ছে কর্দেসের কাছে।
প্রতিষ্ঠানটি সিএনএনকে জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরেই পুরো অর্থ বুঝে পাবে তারা। এর আগেও বন্ডির কিশোর ফুটবলারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এমবাপ্পে। তাঁর অ্যাম্বাসেডর নাইকির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এলাকায় একটি ফুটসাল পিচও বানিয়ে দিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড।
Author: মানবসেবা
Related Posts
Some simillar article from this label, you might also like
- Blog Comments
- Facebook Comments