রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে ‘মানবাধিকার পুরস্কার’ পেলেন আমিনা এরদোগান

দরিদ্র বিমোচনে অবদান ও বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ‘মানবাধিকার পুরস্কার’ পেয়েছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি আমিনা এরদোগান।
গত মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর)  ‘গ্লোবাল ডোনারস ফোরাম’ আমিনা এরদোগানকে এই পুরষ্কার প্রদান করেন।
পুরস্কার পাওয়ার পর এক বক্তৃতায় তুর্কি জাতিকে ‘বিশ্বপ্রেমিক জাতি’ অ্যাখ্যা দিয়ে আমিনা এরদোগান বলেন, “ইতিহাস বলে, তুরস্ক সবসময়ই মানবতার জন্য কল্যাণমূলক সংস্থার কাজের সঙ্গে জড়িত।”
তিনি বলেন, “তুরস্ক বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ শরণার্থীকে সাহায্য করছে।”
রস্ককে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সাহায্যদাতা হিসেবে দাবি করে ফার্স্ট লেডি আমিনা এরদোগান বলেন, “আমি মানবতার জন্য কাজ করে এমন এক জাতির পক্ষে ‘মানবাধিকার পুরস্কার’ পেয়েছি।”
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী বলেন, “এই অর্থপূর্ণ পুরস্কারের সত্যিকার প্রাপক হল আমার দেশ, রাষ্ট্র ও জাতি। যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে যেকোন সাহায্যের আবেদনে সাড়া দেয়।”
এসময় তিনি সারা বিশ্বজুড়ে নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের কথা তুলে ধরেন।
আমিনা এরদোগান বলেন, “আসুন আমরা সমস্ত নিপীড়িতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। যারা ইয়েমেন, সিরিয়া, বাংলাদেশ, গাজা এবং বিশেষ করে আমাদের সবচেয়ে প্রিয় বায়তুল মুকাদ্দাসে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এছাড়া আমি অন্তরের অন্তরস্থল থেকে পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, বসনিয়া ও সুদানের ভাই-বোনদেরকে অভিবাদন জানাতে চাই।”
এদিকে, ৯/১১ এর বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “২০০১ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্য মূলত দুঃখ ও কান্নার ভুমিতে পরিণত হয়েছে।”


SHARE THIS

Author:

Previous Post
Next Post