জেলা প্রতিনিধি
28 SEPTEMBER 2018
টাকা না দেয়াই ছিল মা ফরিদা বেগমের অপরাধ, যার শাস্তিস্বরূপ নিজ ছেলে ফরিদুল ইসলাম মাসুদের (৩৮) অমানুষিক নির্যাতনের স্বীকার হতে হল তাকে। ফরিদা বেগম এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। নীলফামারীর জলঢাকার গোলনা ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের সাবেক সেনাকর্মকর্তা মৃত মকবুল হোসেনের স্ত্রী ফরিদা বেগম।
ফরিদা আরো জানান, আমার স্বামী আমার দুই ছেলের মানসিক চাপের মুখে চারবছর আগেই মারা যায়। আমার স্বামীর মৃত্যুর তারা দুইজন আমাদের ১৫ বিঘা জমি বিক্রি করে তা বিভিন্ন অপকর্মে নষ্ট করে দেয়। এরপরও তারা বিভিন্ন সময়ে টাকা এবং আমার থাকা সব জমি দুইভাইয়ের নামে লিখে দেয়ার জন্য চাপাচাপি ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। শুধু তাই নয়, তারা আমাকে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এরপরেও তারা আমার কাছে টাকা না দেওয়ায় তারা আমাকে ছেড়ে চলে যায়।
এর মাঝে দুই ভাই আমার কাছে টাকা চায়, কিন্তু আমি না দেয়ায় তারা আমার
মুখে গামছা ও পলিথিন পেঁচিয়ে আমার কাছে টাকা দাবি করে। আমি টাকা না দিতে চাইলে সে রড দিয়ে আমার মুখে, চোখে, হাতে, পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার সামনের দুটি দাঁত ভেঙ্গে যায়। নাক কান ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝড়তে থাকে। তবুও আমার প্রতি ওর কোন মায়া হয় নি।
সে জুতা পায়ে আমার বুকে এলোপাথাড়ি লাথি দিতে থাকে। আমি তার পা ধরে বলি, ‘তুই আমার এই বুকের দুধ খেয়ে মানুষ হয়েছিস বাবা, তুই আমার বুকে মারিস না । কিন্তু সে আমার অনুরোধ না শুনে ওই পা দিয়ে গলায় চেপে ধরে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। আমার চিৎকারে আমার দেবর ও আশপাশের লোকজন আসলে সে পালিয়ে যায়।'
এর মাঝে দুই ভাই আমার কাছে টাকা চায়, কিন্তু আমি না দেয়ায় তারা আমার
মুখে গামছা ও পলিথিন পেঁচিয়ে আমার কাছে টাকা দাবি করে। আমি টাকা না দিতে চাইলে সে রড দিয়ে আমার মুখে, চোখে, হাতে, পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার সামনের দুটি দাঁত ভেঙ্গে যায়। নাক কান ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝড়তে থাকে। তবুও আমার প্রতি ওর কোন মায়া হয় নি।
সে জুতা পায়ে আমার বুকে এলোপাথাড়ি লাথি দিতে থাকে। আমি তার পা ধরে বলি, ‘তুই আমার এই বুকের দুধ খেয়ে মানুষ হয়েছিস বাবা, তুই আমার বুকে মারিস না । কিন্তু সে আমার অনুরোধ না শুনে ওই পা দিয়ে গলায় চেপে ধরে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। আমার চিৎকারে আমার দেবর ও আশপাশের লোকজন আসলে সে পালিয়ে যায়।'
ফরিদা বেগম বলেন, আমি চাই আমার পুত্রের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হোক। আর কোনো মা যেন তার নিজের পেটে ধারণ করা সন্তানের এ ধরনের নির্যাতনের মুখোমুখি না হয়। তিনি বলেন, এর আগেও ওই ছেলে এবং ছোট ছেলে ওমর ও তার বউ আমাকে মেরে ফেলার জন্য গলায় ছুড়ি দিয়ে আঘাত করেছিল।
এ ব্যাপারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফরিদা বেগমের বড় মেয়ে নাছরীন আক্তার জানান, আমার পিতার মৃত্যুর পর আমার বাবার নামের সব সম্পদ দুই ভাই মিলে নষ্ট করে দিয়েছে। এরপর তারা বউ ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ইন্ধনে আমার মায়ের নামের জমি ও টাকা নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছে।এর আগেও তারা আমার মাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল।
এ ব্যাপারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফরিদা বেগমের বড় মেয়ে নাছরীন আক্তার জানান, আমার পিতার মৃত্যুর পর আমার বাবার নামের সব সম্পদ দুই ভাই মিলে নষ্ট করে দিয়েছে। এরপর তারা বউ ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ইন্ধনে আমার মায়ের নামের জমি ও টাকা নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছে।এর আগেও তারা আমার মাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল।
এ ব্যাপারে জলঢাকা থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ সরকার জানান, আমি শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা থানায় দায়ের করেছেন ফরিদা বেগমের মেয়ে নাছরীন আক্তার। আসামিরা যেখানেই থাকুক তাদের গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করা হবে।
জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা থানায় দায়ের করেছেন ফরিদা বেগমের মেয়ে নাছরীন আক্তার। আসামিরা যেখানেই থাকুক তাদের গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করা হবে।