হারানো চেকের টাকা তুলতে গিয়ে বিপাকে ২ প্রতারক |

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১৮:৪৬ মিঃ


রাজশাহীর বাগমারায় একটি হারানো চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন দুই প্রতারণ। রবিবার সকালে উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ভবানীগঞ্জ শাখায় স্বাক্ষরবিহীন হারানো ওই চেকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা বসিয়ে তা উত্তোলনের সময় বিপাকে পড়ে প্রতারকরা।

প্রতারকরা হল- নরদাশ ইউনিয়নের মাদিলা গ্রামের জাহিদুর রহমান এবং একই এলাকার জয়পুর গ্রামের প্রভাষক নুরুল ইসলাম।

জানা গেছে, রবিবার সকালে স্বাক্ষরবিহীন হারানো ওই চেকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা বসিয়ে আসল চেক কাছে রেখে ওই চেকের একটি ফটোকপি ব্যাংক কর্মকর্তাকে দেখায় জাহিদুর রহমান এবং প্রভাষক নুরুল ইসলাম। চেকের ফটোকপি পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা ওই হিসাব নম্বর খুলে জানতে পারে চেকের ফটোকপি ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছিল সেই চেকের হিসাব এখন বন্ধ রয়েছে।

দীর্ঘদিন পর সুকৌশলে নিজেদের ইচ্ছে মতো টাকার পরিমাণ বসিয়ে তোহরাব আলীর হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করার চেষ্টা চালায় তারা। বিষয়টি বুঝতে পেরে ব্যাংক কর্মকর্তা তোহরাব আলীকে দ্রুত ব্যাংকে ডাকা হয়। তোহরাব আলী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদীসহ ব্যাংকে হাজির হলে বিষয়টি টের পায় প্রতারকরা। পরে তারা ব্যাংক থেকে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের ভবানীগঞ্জ শাখার আনোয়ার হোসেন বলেন, হারানো চেকের মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব থেকে তারা টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে। যেহেতু চেকটির মাধ্যমে ব্যাংকে থেকে লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে তাই ওই হিসাব চেক করতে গিয়ে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়লে ওই চেকের মালিককে খবর দিয়ে আনা হয়। তবে প্রতারকদের ধরা সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ১১ আগস্ট ২০১৪ সালে চেক হারানোর ঘটনায় বাগমারা থানায় একই তারিখে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তোহরাব আলী।

SHARE THIS

Author:

Previous Post
Next Post