ফেঞ্চুগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন, স্ট্যাটাস দিয়ে বিপাকে ইউএনও!


জেলা প্রতিনিধি
23 APRIL 2019 

স্টাফ রিপোর্টার ঃঃ

কোন ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন। ফেঞ্চুগঞ্জের গঙ্গাপুর ও বারোহালে প্রতিদিন হচ্ছে অবৈধ বালু উত্তোলন। অথচ নীরব প্রশাসন। এরই মধ্যে সততা দেখিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিপাকে পড়েছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা হক!।অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না করায় ক্ষেপে আছে জনসাধারণ। এর মাঝে ভাল মানুষ সাজতে গিয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন ইউএনও। গত ২১ শে এপ্রিল ইএনও তার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন নামক ফেইসবুক একাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেন তাতে লেখা ছিল" বালু মহাল;;;; বর্তমান এ ১৪২৬ বাংলা সন এ ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৩ টি নদী জুড়ি নদী,রত্না -কুশিয়ারা নদীর কোথাও কোন বালু মহাল ইজারা নেই/ দেওয়া হয় নি (প্রক্রিয়াধীন রয়েছে)  কোথাও কোন বালু উত্তোলন করার খবর পাওয়া গেলে সাথে সাথেই তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করবেন। বলে তিনি তার ও এসিল্যান্ড,ওসি এর মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করেন।  তার এ পোষ্টে ৩০ জন মন্তব্য করেন। এর মধ্যে কাজি রয়েল মন্তব্য করেন " ধন্যবাদ মেডাম, গত কয়েকদিন আগে দেখলাম নিউজ হয়েছে কুশিয়ারা নদী থেকে একটি চক্র বালু উত্তোলন করছে এগুলো কি বৈধ ছিল?
এ কমেন্টের উত্তর দেন নি ইউএনও! মোহাম্মাদ রাজু মন্তব্য করেন আগে যারা অবৈধ বালু উত্তোলন করেছিল তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিলেন জানাবেন!  এখানেও চুপ ছিলেন ইউএনও। রাফুল মিয়া মন্তব্য করেন আজও দেখলাম বারোহাল থেকে বালু তুলে উপজেলা ডর্মেটরির পাশের মাঠে ফেলা হচ্ছে! এ মন্তব্যেও চুপ ছিলেন পোস্টদাতা ইউএনও। নির্মল দাস মন্তব্য করেন ফেঞ্চুগঞ্জ বারোহালে অবৈধ বালু উত্তোলন হচ্ছে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি! কিন্তু এ কমেন্ট কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করেনি! কোন উত্তর না দেওয়ায়  বিষয়টা কানাঘুষা আলোচনায় চলে আসে ফেঞ্চুগঞ্জে। কমেন্টগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়। দেখা যায় প্রতিদিন ইউএনও এর কার্যালয়ের সামনেই অবৈধ বালু সরবারাহ চলছে অথচ দেখেন না তিনি! একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ফেইসবুক পোস্ট হাস্যকর ভূমিকা প্রতিষ্টা করে।

SHARE THIS
Previous Post
Next Post