ব্লাড ব্যাংকে স্টোর করা ঠাণ্ডা রক্ত কেন ফ্রেশ ব্লাডের চেয়ে ভাল???
প্রথমেই বলে রাখা ভাল, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা আজ অব্দি যত রকম পরীক্ষা পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পেরেছেন, তার কোনওটাতেই পরীক্ষা করে রক্তের ১০০% নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেওয়া যায়না।
-
সাধারণত যে দুই পদ্ধতিতে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের পরীক্ষা হয়, সেগুলি হল, ১) এলাইজা (ELISA) পদ্ধতি আর ২) রেপিড টেস্ট বা স্পট টেস্ট। এই দুই পরীক্ষা পদ্ধতিতে দুই রকম রি-এজেন্ট ব্যবহার করা হয়।
সাধারণত যে দুই পদ্ধতিতে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের পরীক্ষা হয়, সেগুলি হল, ১) এলাইজা (ELISA) পদ্ধতি আর ২) রেপিড টেস্ট বা স্পট টেস্ট। এই দুই পরীক্ষা পদ্ধতিতে দুই রকম রি-এজেন্ট ব্যবহার করা হয়।
-
এদের মধ্যে এলাইজা পদ্ধতিই হচ্ছে সবচেয়ে আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য। এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করার পর রক্তকে ৯৯.৮ শতাংশ নিরাপদ বলে ঘোষণা করা যায়। কিন্তু এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করলে সময় বেশি লাগে, প্রায় কয়েক ঘণ্টা। তা ছাড়া আরেকটি সমস্যা আছে। এলাইজা পদ্ধতিতে পরীক্ষার জন্য যে রি-এজেন্ট পাওয়া যায়, তার প্যাকেটে ৯৬টি রক্তের স্যাম্পল পরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকে। একটি মাত্র স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য একবার প্যাকেট খুলে ফেললে বাকি ৯৫টি রি-এজেন্ট নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই একসাথে বেশ কিছু রক্তের স্যাম্পল না থাকলে প্রচুর রি-এজেন্ট নষ্ট হয়ে গিয়ে অনেক অর্থের অপচয় হয়। তাই ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প থেকে বেশ কিছু পরিমাণ রক্ত পেলেই এলাইজা টেস্ট করা সম্ভব হয়।
এদের মধ্যে এলাইজা পদ্ধতিই হচ্ছে সবচেয়ে আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য। এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করার পর রক্তকে ৯৯.৮ শতাংশ নিরাপদ বলে ঘোষণা করা যায়। কিন্তু এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করলে সময় বেশি লাগে, প্রায় কয়েক ঘণ্টা। তা ছাড়া আরেকটি সমস্যা আছে। এলাইজা পদ্ধতিতে পরীক্ষার জন্য যে রি-এজেন্ট পাওয়া যায়, তার প্যাকেটে ৯৬টি রক্তের স্যাম্পল পরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকে। একটি মাত্র স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য একবার প্যাকেট খুলে ফেললে বাকি ৯৫টি রি-এজেন্ট নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই একসাথে বেশ কিছু রক্তের স্যাম্পল না থাকলে প্রচুর রি-এজেন্ট নষ্ট হয়ে গিয়ে অনেক অর্থের অপচয় হয়। তাই ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প থেকে বেশ কিছু পরিমাণ রক্ত পেলেই এলাইজা টেস্ট করা সম্ভব হয়।
-
অন্য দিকে শুধুমাত্র একজন বা দুইজন রক্তদাতার রক্ত পরীক্ষা করতে হলে রেপিড টেস্ট বা স্পট টেস্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা রক্তের নিরাপত্তার গ্যারান্টি এলাইজা পদ্ধতির তুলনায় অনেক কম। রেপিড টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় রি-এজেন্ট একটা একটা করে প্যাকেট করা থাকে। কাজেই একটা রক্তের স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য এই পদ্ধতি তুলনামূলক কম খরচেই হয়ে যায়।
-
কিন্তু, আগেই বলেছি, রেপিড টেস্ট পদ্ধতিতে নিরাপত্তার গ্যারান্টি অনেক কম। তাছাড়া রোগীর আত্মীয় স্বজনের উদ্বেগ-প্রসূত তাগাদায় কিছুটা তাড়াহুড়ো করেই এই পরীক্ষা করতে হয়। এমতাবস্থায় সামান্য হলেও ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায়না। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা রক্ত আপনার রোগীকে দিয়ে আপনি পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারবেন না। জীবন আর মৃত্যুর মাঝখানে যখন মাত্র এক সুতোর ব্যবধান, সেখানে আমরা কেন এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করাবো ? কেন আমার প্রিয় মানুষটির জন্য সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে পরীক্ষিত রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করব না ?
আমার প্রিয়জন কে আমি রক্ত দিতে চাই - খুব ভাল কথা। কিন্তু আমার রক্তের বিনিময়ে ব্লাড ব্যাঙ্কে আগে থেকে এলাইজা পদ্ধতিতে ধীরে সুস্থে পরীক্ষা করে রাখা রক্ত নিয়েই আমার রোগীর চিকিৎসা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তা ছাড়া আরও একটি কারণ আছে। পরীক্ষা গুলো তো একজন মানুষ-ই করছেন, আর মানুষ মাত্রেই ভুল হওয়া অসম্ভব নয়। ভুলবশতও যদি পরীক্ষা করা রক্তে সিফিলিস, গ্ণোরিয়া জাতীয় কোন যৌনরোগের জীবাণু থাকা সত্বেও ধরা না পড়ে, তবুও চার থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে তিন চার ঘণ্টা ঠাণ্ডা হওয়া রক্তে সেই জীবাণু এমনিতেই মরে যায়। এদিক থেকেও অনেকটা নিরাপত্তা দেয় ব্লাড ব্যাঙ্কে রাখা ঠাণ্ডা রক্ত।
-
কার্টেসি- Nazrul Islam ভাই
সংগৃহীতঃ Avijit Roy ভাই এর টাইমলাইন থেকে।
-
কার্টেসি- Nazrul Islam ভাই
সংগৃহীতঃ Avijit Roy ভাই এর টাইমলাইন থেকে।