.
আমরা যারা রক্ত সংগ্রহে কাজ করছি, আমাদের দিন দিন অভিজ্ঞতা বাড়ছে... এবং এই অভিজ্ঞতাকে প্রতিনিয়ত কাজে লাগাতে হবে... এতে কি হবে? এতে রক্তদাতার হয়রানি কমবে, আমরা যারা রক্তদাতা খুঁজতে ছুটাছুটি করি তাঁদেরও হয়রানি কমবে... আর রক্ত ম্যানেজের কাজ শুধুমাত্র এটা না যে, রক্তের পোস্ট কপি করে দিয়ে দিলাম... দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে...
রক্ত ম্যানেজের কাজে আবেগের দরকার আছে, কিন্তু অপ্রয়োজনীয় যুক্তিহীন আবেগে মানুষ হয়রানির শিকার হয়, প্রতারনার সুযোগও তৈরি হয়...
রক্তের রিকুয়েস্ট এলে আগে ভাল করে জেনে নিবেন রোগীর সমস্যা কি, এবং সেই সমস্যার জন্য কত ব্যাগ রক্ত চাচ্ছে ওরা... ভাল করে খেয়াল করবেন যে, রোগীরা এক্সট্রা স্ট্যান্ডবাই ডোনার রাখার জন্য অতিরিক্ত রক্ত চাচ্ছে কিনা... আমাদের কাছে প্রতিনিয়ত রক্তের রিকুয়েস্ট আসে, তাই একজন রোগীর জন্য স্ট্যান্ডবাই ডোনার রেখে অন্য রোগীর জন্য রক্তদাতা ম্যানেজ করতে পারলাম না - এটা যেন কখনো না হয়...
কোন রোগীর জন্য সাধারনত কত ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয় সেটা জেনে নিন ভাল করে... সম্ভব হলে মুখস্থ করুন... নেক্সট বার রক্তের রিকুয়েস্ট এলে রোগীর কয় ব্যাগ রক্ত লাগতে পারে আশা করি যাচাই করে নিতে পারবেন...
১) গর্ভবতী রোগীর সিজারের জন্য সাধারনত ১ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়... সর্বোচ্চ ২ ব্যাগ... গর্ভবতীর হিমোগ্লোবিনের পরিমান জেনে নিবেন আগে...
২) রক্তশুন্যতা রোগীর জন্য ১ বা ২ ব্যাগ... (প্রথমেই রোগীর হিমোগ্লোবিনের পরিমান জেনে নিবেন... লেভেল ১২ হলে নরমাল... ৯ এর নিচে নেমে গেলে সাধারনত রক্তের প্রয়োজন হয়)
৩) থ্যালাসিমিয়া রোগীর জন্য সাধারনত ১ ব্যাগ রক্ত... প্রতি মাসে ১-২ বার লাগতে পারে...
৪) ওপেন হার্ট সার্জারি / বাইপাস সার্জারির জন্য ৪ থেকে ৬ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়... এর বেশি রক্ত চাইলে বুঝতে হবে রোগী স্ট্যান্ডবাই ডোনার রাখতে চাচ্ছেন...
৫) কিডনি ডায়ালসিসের জন্য সাধারনত ১ ব্যাগ রক্ত... মাসে ১-২ বার লাগতে পারে...
৬) রক্ত-বমি হলে ১ থেকে ২ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়
৭) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর প্লাটিলেট প্রয়োজন হয়... সাধারণত প্রতিবারে ৪ ব্যাগ রক্ত হতে ১ ব্যাগ প্লাটিলেট নিয়ে রোগীর শরীরে দেয়া হয়... এফেরেসিস সিস্টেমে একজন রক্তদাতা থেকে ১ ব্যাগ প্লাটিলেট সংগ্রহ করা যায়...
৮) এক্সিডেন্টের রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে রক্তের প্রয়োজন হয়...
৯) ব্লাড ক্যান্সারের রোগীর প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়... তবে একসাথে ৪-৫ ব্যাগের বেশি রক্তের প্রয়োজন হয় না... ৪-৫ ব্যাগ দেয়ার কিছুদিন পরেই আবার রক্তের প্রয়োজন হয়... এভাবে চলতে থাকে...
১০) পিত্তথলির পাথরের অপারেশনের জন্য ব্লাড সাধারনত লাগে না... অভিজ্ঞতা থেকে বলছি... যদি অপারেশনের আগে রোগীর হিমোগ্লোবিন কম থাকে, তাহলে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য রক্ত লাগতে পারে...
("সাধারনত" কত ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়, উপরের লিস্টে সেটা উল্লেখ করা আছে... রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুসারে রক্তের পরিমান কম-বেশি হতে পারে)
উপরের প্রতিটি পয়েন্ট মনে রাখুন, এবং রোগীর রক্তের প্রয়োজনে আগে ভাল করে যাচাই করুন...
তা না হলে, স্বেচ্ছাসেবক , রক্তদাতা সবারই হয়রানি হয়... দেখা যায় রক্তদাতা হাসপাতালে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে ফিরে আসে... এতে রক্তদাতারা নিরুৎসাহিত হয়ে যায়...
যাচাই করে তারপর পোস্ট করুন, এবং রোগীর আত্মীয় থেকে নিয়মিত আপডেট জেনে নিন... দায়িত্ব নিলে ভাল ভাবেই নিতে হবে, গা-ছাড়া ভাবে করলে উপকারের চেয়ে বিড়ম্বনাই বেশি হবে...
আমরা যারা রক্ত সংগ্রহে কাজ করছি, আমাদের দিন দিন অভিজ্ঞতা বাড়ছে... এবং এই অভিজ্ঞতাকে প্রতিনিয়ত কাজে লাগাতে হবে... এতে কি হবে? এতে রক্তদাতার হয়রানি কমবে, আমরা যারা রক্তদাতা খুঁজতে ছুটাছুটি করি তাঁদেরও হয়রানি কমবে... আর রক্ত ম্যানেজের কাজ শুধুমাত্র এটা না যে, রক্তের পোস্ট কপি করে দিয়ে দিলাম... দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে...
রক্ত ম্যানেজের কাজে আবেগের দরকার আছে, কিন্তু অপ্রয়োজনীয় যুক্তিহীন আবেগে মানুষ হয়রানির শিকার হয়, প্রতারনার সুযোগও তৈরি হয়...
রক্তের রিকুয়েস্ট এলে আগে ভাল করে জেনে নিবেন রোগীর সমস্যা কি, এবং সেই সমস্যার জন্য কত ব্যাগ রক্ত চাচ্ছে ওরা... ভাল করে খেয়াল করবেন যে, রোগীরা এক্সট্রা স্ট্যান্ডবাই ডোনার রাখার জন্য অতিরিক্ত রক্ত চাচ্ছে কিনা... আমাদের কাছে প্রতিনিয়ত রক্তের রিকুয়েস্ট আসে, তাই একজন রোগীর জন্য স্ট্যান্ডবাই ডোনার রেখে অন্য রোগীর জন্য রক্তদাতা ম্যানেজ করতে পারলাম না - এটা যেন কখনো না হয়...
কোন রোগীর জন্য সাধারনত কত ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয় সেটা জেনে নিন ভাল করে... সম্ভব হলে মুখস্থ করুন... নেক্সট বার রক্তের রিকুয়েস্ট এলে রোগীর কয় ব্যাগ রক্ত লাগতে পারে আশা করি যাচাই করে নিতে পারবেন...
১) গর্ভবতী রোগীর সিজারের জন্য সাধারনত ১ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়... সর্বোচ্চ ২ ব্যাগ... গর্ভবতীর হিমোগ্লোবিনের পরিমান জেনে নিবেন আগে...
২) রক্তশুন্যতা রোগীর জন্য ১ বা ২ ব্যাগ... (প্রথমেই রোগীর হিমোগ্লোবিনের পরিমান জেনে নিবেন... লেভেল ১২ হলে নরমাল... ৯ এর নিচে নেমে গেলে সাধারনত রক্তের প্রয়োজন হয়)
৩) থ্যালাসিমিয়া রোগীর জন্য সাধারনত ১ ব্যাগ রক্ত... প্রতি মাসে ১-২ বার লাগতে পারে...
৪) ওপেন হার্ট সার্জারি / বাইপাস সার্জারির জন্য ৪ থেকে ৬ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়... এর বেশি রক্ত চাইলে বুঝতে হবে রোগী স্ট্যান্ডবাই ডোনার রাখতে চাচ্ছেন...
৫) কিডনি ডায়ালসিসের জন্য সাধারনত ১ ব্যাগ রক্ত... মাসে ১-২ বার লাগতে পারে...
৬) রক্ত-বমি হলে ১ থেকে ২ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়
৭) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর প্লাটিলেট প্রয়োজন হয়... সাধারণত প্রতিবারে ৪ ব্যাগ রক্ত হতে ১ ব্যাগ প্লাটিলেট নিয়ে রোগীর শরীরে দেয়া হয়... এফেরেসিস সিস্টেমে একজন রক্তদাতা থেকে ১ ব্যাগ প্লাটিলেট সংগ্রহ করা যায়...
৮) এক্সিডেন্টের রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে রক্তের প্রয়োজন হয়...
৯) ব্লাড ক্যান্সারের রোগীর প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়... তবে একসাথে ৪-৫ ব্যাগের বেশি রক্তের প্রয়োজন হয় না... ৪-৫ ব্যাগ দেয়ার কিছুদিন পরেই আবার রক্তের প্রয়োজন হয়... এভাবে চলতে থাকে...
১০) পিত্তথলির পাথরের অপারেশনের জন্য ব্লাড সাধারনত লাগে না... অভিজ্ঞতা থেকে বলছি... যদি অপারেশনের আগে রোগীর হিমোগ্লোবিন কম থাকে, তাহলে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য রক্ত লাগতে পারে...
("সাধারনত" কত ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়, উপরের লিস্টে সেটা উল্লেখ করা আছে... রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুসারে রক্তের পরিমান কম-বেশি হতে পারে)
উপরের প্রতিটি পয়েন্ট মনে রাখুন, এবং রোগীর রক্তের প্রয়োজনে আগে ভাল করে যাচাই করুন...
তা না হলে, স্বেচ্ছাসেবক , রক্তদাতা সবারই হয়রানি হয়... দেখা যায় রক্তদাতা হাসপাতালে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে ফিরে আসে... এতে রক্তদাতারা নিরুৎসাহিত হয়ে যায়...
যাচাই করে তারপর পোস্ট করুন, এবং রোগীর আত্মীয় থেকে নিয়মিত আপডেট জেনে নিন... দায়িত্ব নিলে ভাল ভাবেই নিতে হবে, গা-ছাড়া ভাবে করলে উপকারের চেয়ে বিড়ম্বনাই বেশি হবে...