জকিগঞ্জে একই পরিবারে ৫ জন অন্ধ সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখতে চান তারা -------------------- ‘চোঁখের নজর এমনি কইরা একদিন খইয়া যাবে/জোয়ার ভাটায় পইড়া দুই চোঁখ নদী হইয়া যাবে/পোড়া চোঁখে যা দেখিলাম তাই রইয়া যাবে।’ সৈয়দ আবদুল হাদীর সেই অবিস্মরণীয় গানে চোখের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে। চোঁখকে বাঁচিয়ে রাখার সাধ মানুষের চিরন্তন। পৃথিবীকে ‘দেখার সাধ’ মানুষের চিরদিনের। চোঁখের সাহায্যেই মানুষ সুন্দর পৃথিবীর রংধনু, নীল আকাশ, রূপ রং, প্রিয় মুখ, আকাশ, পাহাড়, নদী, পাখি, ফুলসহ যাবতীয় সৌন্দর্য উপভোগ করে। মুগ্ধ হয়। চোঁখ মানেই জগতের আলো। মনের আয়না। কর্মব্যস্ত জীবনে চোঁখের গুরুত্ব তারাই বুঝেন যারা পৃথিবীকে দেখতে পান না, তারাই কেবল জানেন বেঁচে থাকার জন্য চোঁখ কতোটা অপরিহার্য! যার চোঁখ নেই, সে-ই বুঝে যে চোঁখ কত অমূল্য সম্পদ। যেকেউ চোঁখ হারানোর পর চোঁখ হারা মানুষের না-বলা কথাগুলো অনুভব করতে পারেন। অপরূপ এ জগতে সবাই দেখতে পান না। কেউ চশমা ব্যবহার করে জীবন পার করেন, আবার সমাজে অনেক মানুষ আছেন যারা চোঁখে একটুও দেখতে পান না পৃথিবীর সোনালী আলো। চশমা দিয়েও না। তাদের আমরা অন্ধ বলি। অন্ধ মানুষের জীবন অন্ধকারেই কাটাতে হয়। দিনের আলো, রাতের অন্ধকার সবই যেন তাদের কাছে সমান। অন্ধরাই বুঝেন অন্ধত্বের যন্ত্রনা। দুনিয়াটা দেখার জন্য ছটফট করে তাদের মন। মূর্খ লোকও বলে কথা, তাদের মনে বাড়ে জ্বালা ব্যাথা। যেখানে যায় কানা লোক, আবর্জনা মনে করে সমাজের লোক। অন্ধ মানুষের জীবন যাপনের চিত্র খুজতে গিয়ে জকিগঞ্জের বারহাল ইউনিয়নের খিলোগ্রাম ৩০ঘর এলাকায় একটি অন্ধ পরিবারের সন্ধান মিলেছে। পরিবারটির ৫ জন লোকই অন্ধ। তারা পৃথিবীর আলো একেবারেই দেখতে পায়না। এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সাবেক দফাদার মৃত মাহমদ আলীর ৫ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে ৪ ভাই আব্দুল মতিন, আলমাছ উদ্দিন, নোমান উদ্দিন, আজমল উদ্দিন ও ১ বোন খানম বেগম অন্ধ। জন্মের পর থেকেই তাদের এই দশা। সহায় সম্বলহীন এই অন্ধ পরিবারটির লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনাহারে, অর্ধাহারে কাটে দিন। টাকার অভাবে তারা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। সম্প্রতি এ প্রতিবেদক তাদের বাড়িতে গেলে দেখতে পান, ছোট্ট ঝুপড়ি ঘরেই তাদের বসবাস। ঘরের বারান্দায় বসে আছেন অন্ধ চার ভাই আব্দুল মতিন, আলমাছ উদ্দিন, নোমান উদ্দিন, আজমল উদ্দিন ও অন্ধ বোন খানম বেগম। সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই অন্ধ খানম বেগম হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন।
জকিগঞ্জে একই পরিবারে ৫ জন অন্ধ সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখতে চান তারা
জকিগঞ্জে একই পরিবারে ৫ জন অন্ধ সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখতে চান তারা -------------------- ‘চোঁখের নজর এমনি কইরা একদিন খইয়া যাবে/জোয়ার ভাটায় পইড়া দুই চোঁখ নদী হইয়া যাবে/পোড়া চোঁখে যা দেখিলাম তাই রইয়া যাবে।’ সৈয়দ আবদুল হাদীর সেই অবিস্মরণীয় গানে চোখের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে। চোঁখকে বাঁচিয়ে রাখার সাধ মানুষের চিরন্তন। পৃথিবীকে ‘দেখার সাধ’ মানুষের চিরদিনের। চোঁখের সাহায্যেই মানুষ সুন্দর পৃথিবীর রংধনু, নীল আকাশ, রূপ রং, প্রিয় মুখ, আকাশ, পাহাড়, নদী, পাখি, ফুলসহ যাবতীয় সৌন্দর্য উপভোগ করে। মুগ্ধ হয়। চোঁখ মানেই জগতের আলো। মনের আয়না। কর্মব্যস্ত জীবনে চোঁখের গুরুত্ব তারাই বুঝেন যারা পৃথিবীকে দেখতে পান না, তারাই কেবল জানেন বেঁচে থাকার জন্য চোঁখ কতোটা অপরিহার্য! যার চোঁখ নেই, সে-ই বুঝে যে চোঁখ কত অমূল্য সম্পদ। যেকেউ চোঁখ হারানোর পর চোঁখ হারা মানুষের না-বলা কথাগুলো অনুভব করতে পারেন। অপরূপ এ জগতে সবাই দেখতে পান না। কেউ চশমা ব্যবহার করে জীবন পার করেন, আবার সমাজে অনেক মানুষ আছেন যারা চোঁখে একটুও দেখতে পান না পৃথিবীর সোনালী আলো। চশমা দিয়েও না। তাদের আমরা অন্ধ বলি। অন্ধ মানুষের জীবন অন্ধকারেই কাটাতে হয়। দিনের আলো, রাতের অন্ধকার সবই যেন তাদের কাছে সমান। অন্ধরাই বুঝেন অন্ধত্বের যন্ত্রনা। দুনিয়াটা দেখার জন্য ছটফট করে তাদের মন। মূর্খ লোকও বলে কথা, তাদের মনে বাড়ে জ্বালা ব্যাথা। যেখানে যায় কানা লোক, আবর্জনা মনে করে সমাজের লোক। অন্ধ মানুষের জীবন যাপনের চিত্র খুজতে গিয়ে জকিগঞ্জের বারহাল ইউনিয়নের খিলোগ্রাম ৩০ঘর এলাকায় একটি অন্ধ পরিবারের সন্ধান মিলেছে। পরিবারটির ৫ জন লোকই অন্ধ। তারা পৃথিবীর আলো একেবারেই দেখতে পায়না। এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সাবেক দফাদার মৃত মাহমদ আলীর ৫ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে ৪ ভাই আব্দুল মতিন, আলমাছ উদ্দিন, নোমান উদ্দিন, আজমল উদ্দিন ও ১ বোন খানম বেগম অন্ধ। জন্মের পর থেকেই তাদের এই দশা। সহায় সম্বলহীন এই অন্ধ পরিবারটির লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনাহারে, অর্ধাহারে কাটে দিন। টাকার অভাবে তারা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। সম্প্রতি এ প্রতিবেদক তাদের বাড়িতে গেলে দেখতে পান, ছোট্ট ঝুপড়ি ঘরেই তাদের বসবাস। ঘরের বারান্দায় বসে আছেন অন্ধ চার ভাই আব্দুল মতিন, আলমাছ উদ্দিন, নোমান উদ্দিন, আজমল উদ্দিন ও অন্ধ বোন খানম বেগম। সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই অন্ধ খানম বেগম হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন।